দেশে মাদকের ভয়াবহ বিস্তার সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। মাদক যুব সমাজ ধ্বংস করে দিচ্ছে মন্তব্য করে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। একটি মাদক মামলার শুনানিকালে হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছেন, প্রয়োজনে সারাদেশ থেকে চিহ্নিত করে ৫০০ লোককে সরিয়ে দিন, দেখবেন মাদক নির্মূল হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) একটি মাদক মামলার আসামির জামিন আবেদন শুনানির সময় এমন মন্তব্য করেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এদিন দুপুরের দিকে একজন আইনজীবী মাদক (২০ কেজি গাঁজা) উদ্ধারের বিষয়ে একটি আবেদনের শুনানির জন্য যান। আদালত বলেন, বিশ কেজি গাঁজা অনেক বেশি। এতো পরিমাণ মাদক কারবারিকে জামিন দেব না।
তখন ওই আইনজীবী আদালতকে বলেন, মাই লর্ড! মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণে বড় বড় গডফাদার আছে। তারা সব সময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। তাদেরকে ধরা যায় না।
এসময় আদালত বলেন, সারাদেশ থেকে চিহ্নিত করে ৫০০ লোককে সরিয়ে দিন, দেখবেন মাদক নির্মূল হয়ে গেছে।
ddd
এই আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত আরও বলেন, অল্প কিছু টাকা ফি’র জন্য মাদক মামলায় উকালতি করবেন না। মাদকের কারণে সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পরে আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মাদক একটি ভয়াবহ সামাজিক সমস্যা। বাংলাদেশও এর ভয়াল থাবা থেকে মুক্ত নয়। দেশে মোট জনসংখ্যার মধ্যে মাদকসেবীর সংখ্যা ৭০ লাখেরও বেশি। যা রীতিমত ভীতির সঞ্চার করে। মাদকসেবীর দেহমন, চেতনা, মনন, প্রেষণা, আবেগ, অনুভূতি সবকিছুই মাদকের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এজন্য মাদক নির্মূলে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
সরকার মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করলেও তা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। দিন মাদকসেবীর সংখ্যা শুধু বাড়ছেই। এই অবস্থায় মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
পাঠকের মতামত